ভাগ্য গণনা!

Category: Religion Written by Md. Rafiqul Islam Hits: 15652

 

গোদাগাড়ী থানা, তখনও উপজেলা হয়নি। সপ্তাহে ২দিন হাট। হাটে মানুষ তাদের ধান, চাল, আদা-রসুন নিয়ে আসেন বিক্রি করে সপ্তাহের বাজার করে নিয়ে যেতেন। হাটটির ২টি অংশ, এক অংশে অস্থায়ী সেড, সপ্তাহে হাটবারে ব্যবহার হয়। বাকি অংশে স্থায়ী দোকানপাট। অস্থায়ী সেড ও ফাঁকা অংশে বসতো না এমন জিনিষ বলা ভার।

কোথাও আলুপটল, মাছ-মুরগী বিক্রি হচ্ছে। কোথাও তালের পাখা। এক জায়গায় গনক টিয়া দিয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করছে। অন্য এক জায়গায় গণক নিজেই বসে আছেন। হাতের তালু আর রেখার পোষ্টার সহ ছবি টাংগানো। গণক হাতের রেখা দেখে মানুষের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ বলে দেন। তার বদলে ফি পেয়ে থাকেন।

হাতের তালুকে পাম। তালু পড়ে ভবিষ্যৎ গণনা করা বিদ্যা প্যামিস্ট্রি নামে আমাদের দেশে পরিচিত। আর একদল গণক রেখা ছাড়াও মানুষের সকল অংগ দেখে ভবিষ্যৎ বলে থাকেন। এ শাস্ত্রের নাম সামুদ্রিকা। কিছু লোক জন্ম তারিখের ভিত্তিতে, রাশি নির্ণয় করে রাশিচক্রের ভিত্তিতে আবার কেহ কেহ অংকের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ বলে থাকেন। সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ বলার নাম দিয়েছেন নিউমোরোলজী। নাম যাই হোক আসল কাম ভবিষ্যৎ বলা।

ভবিষ্যৎ বলা একটা ব্যবসা। কিছু লোক এটা করে বেশ কামাচ্ছেন, দিব্বি আছেন। আমরা ভবিষ্যৎ জানতে চাই। আমার ভবিষ্যৎ কি? ভবিষ্যতে আমার কি হবে। জানার আগ্রহ আমাদের সবার। জেনে কি হবে? যদি আগে থেকে আমরা আমাদের ভবিষ্যত জানি তা হলে কি আমরা পরিবর্তন করতে পারবো? এ সবের উত্তর আমরা জানি না। তারপরও আমরা সবাই ভবিষ্যৎ জানতে চাই।

হাটের ফাকা জায়গায় গোল জটলা দেখলেই বুঝতাম গণক বসেছে। ভীড় ঠেলে ভিতরে ঢুকতে চেষ্টা করতাম আমার হাত দেখাবো তা নয়। কার হাত দেখছেন। তার ভবিষ্যত কি হবে এ বিষয়ে কি বলছেন এ সব নিয়ে আমার কৌতুহল ছিল অনেক। এভাবে হাটবারে দু'একজনের হাত দেখা দেখলেও নিজের হাত দেখানোর সাহস কোনদিন হয়নি।

৮ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল জেলা শহরগুলোতে। তখন পূর্ব পাকিস্তানে মোট জেলার সংখ্যা ১৯টি। আমার জেলা শহর রাজশাহীতে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে গেছি। আমার বোনের বড় ভাসুরের বাড়ীতে উঠলাম। পরীক্ষা কয়দিন উনাদের ওখানেই থাকবো। মা সাথে বেশকিছু চাল-ডাল, তরি-তরকারী দিয়েছিলেন।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে আমার পরীক্ষার সিট পড়েছে। আমার ভগ্নিপতির বড় ভাই-এর বাড়ী ওখান থেকে মাত্র ১০ মিনিটের পায়ে হাটা পথ। বিকালবেলা সন্ধ্যার ঠিক আগে হাটতে হাটতে কলেজিয়েট স্কুলে যাচ্ছি। কলেজগেইটে রাস্তার উল্টোদিকে একজন জটাধারী লোক বসে আছেন। চেহেরাটি অদ্ভুত! একটু ভয় পেলাম। জটাধারীকে এড়িয়ে একটু দূর দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজ হলো।

'পাঁচটা টাকা দে' - জটাধারীর নির্দেশ।

বাড়ী থেকে বের হওয়ার আগে পকেটে ৫ টাকা নিয়ে এসেছিলাম। বিকেলে বাইরে কিছু খেয়ে নিব মনে করে। জটাধারীর আওয়াজ শোনার সাথে সাথে হাফপ্যান্টর পকেটে হাত দিলাম। ম্যাট্রিক পাশ করার আগ পর্যন্ত লুংগী আর হাফপ্যান্ট পরতাম। একটা ফুলপ্যান্ট ছিল। তবে কোন বিশেষ অনুষ্ঠান না হলে ওটা পরা হতো না। যন্ত্রের মত পকেট থেকে ৫ টাকার নোটটা বাহির করে জটাধারীকে দিতে গেলাম। জটাধারী টাকাটা হাত দিয়ে নিলেন না।
'ফেল এখানে' - জটাধারীর নির্দেশ।
নির্দেশ অনুযায়ী টাকা ফেলে দিলাম। এবার আরো তীব্র কন্ঠে নির্দেশ দিলেন,
'হাত দে!' আমি দু'হাত এক সাথে বাড়িয়ে দিলাম।
'ডান হাত!' জটাধারী আবারও নির্দেশ দিলেন।
বাম হাতটা গুটিয়ে নিলাম। জটাধারীর তার ময়লা হাতগুলো দিয়ে আমার হাতের আংগুলগুলো ধরে মনোযোগ সহকারে দেখতে লাগলেন। ভীষণ বিরক্তি লাগছিল। কিন্তু কিছু করার ছিল না। তার হাত হতে আমার হাতটা ছুটিয়ে দিয়ে দৌড় দিবো এ সাহস শক্তি কোনটাই ছিল না। জটাধারী হঠাৎ আওয়াজ করলেন,
'যা! বৃত্তি পাবি!"
আমি কোন জবাব দিলাম না। আমার ভিতরে একটা বিশ্বাস ছিল আমি বৃত্তি পাবো। তাই জটাধারী আমার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কোন কিছু বলেছেন এমন কিছু মনে হলো না।

"লেখাপড়া করতে বিদেশ যাবি!" জটাধারী যেন বোমা ফাটালেন।

গ্রামের একটা ছেলে। ঐ সময়ে বিদেশে গিয়ে লেখাপড়ার কথা চিন্তা করার ক্ষমতাও ছিল না। পাথরের মত দাড়িয়ে আছি। জটাধারী আবারও বললেন,
"সাবধান, বিদেশে তোর বড় একটা এক্সিডেন্ট হবে।"
আমি হ্যা/না কোন কিছুই বললাম না।
"সরকারের অনেক বড় পদে উঠবি।" - জটাধারী এ বলে আমার হাতটা ছেড়ে দিলেন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। দৌড় দিয়ে রাস্তা পার হয়ে কলেজিয়েট স্কুলে ঢুকে আমার সিট দেখে ফিরে আসলাম। জটাধারী আগের মতই বসে আছেন। আমার পাঁচ টাকার নোটটা তার সামনে পড়ে আছে। আগের মত ভয় পেলাম না। তার সামনে দিয়ে সোজা বাড়ী ফিরলাম। বাড়ী ফিরে একবার ঘটনাটা সবাইকে বলবো ভেবেছিলাম। কে কি মনে করবে ভেবে বলা হলো না।

পরীক্ষা দিতে প্রতিদিন সকালে জটাধারীর সামনে দিয়ে যাওয়া আসা করলাম। এভাবে পরীক্ষার ৩দিন কেটে গেল। আর কোনদিন জটাধারীর সাথে কথা হয়নি। পরীক্ষা শেষ করে রাজশাহী ছাড়লাম।

গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইয়া ইয়া মিয়ার ছেলে শফিক। আগে প্রাইমারী পর্যন্ত আমাদের সাথেই পড়তো। পরে কলেজিয়েট স্কুলে গিয়ে ভর্তি হয়েছিল। আমার সাথে বৃত্তি পরীক্ষাও দিয়েছে। তার সিট পড়েছিল লোকনাথ স্কুলে। রাজশাহীতে দেখা হয়নি। পরীক্ষা শেষে সেও গোদাগাড়ী এসেছে। আমাদের বাড়ীর কাছেই গোদাগাড়ী স্কুল মাঠ। আড্ডা মারছি। রাজশাহীতে বৃত্তি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথাবার্তার এক ফাঁকে জটাধারীর প্রসংগ উঠলো। শফিকও জটাধারীকে চেনে। ঘটনাটা বলতেই শফিক তীব্র প্রতিবাদ জানালো,

"চাপামারার আর জায়গা পেলি না। তাঁকে ৩ বছর ধরে দেখছি। কোনদিন কারো সংগে কথা বলেছে শুনিনি।"

দেখলাম ইসহাকও তাঁকে দেখেছে, সে জানালো-
"সে কারো কিছু খেয়েছে এমনটা কেউ কোনদিন দেখেনি"।

আমি অপমানিত বোধ করলাম। বিষয়টির সত্যতা প্রমাণ করার কোন পথ পেলাম না। সবকিছু সহ্য করে জটাধারীর প্রসংগ বাদ দিলাম। জটাধারী আমার মনের কোণে স্থান করে নিয়েছে, সবার অজান্তে। রাজশাহীতে পারিবারিক কাজে বেশ কয়েকবার যেতে হলো। জটাধারীকে আগের মতই বসে থাকতে দেখেছি। কোন টাকা চায়নি।

৮ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট হলো। বৃত্তি পেয়েছি। জটাধারীকে মনে পড়লো। প্যামিষ্ট্রির জন্মদাতা কিরো। বাজারে বাংলা-ইংরেজিতে তার যত বই পাওয়া যায় সবগুলো কিনলাম। পড়তেও বাকি রাখলাম না। মাঝে মধ্যে বন্ধু-বান্ধবদের হাত নাড়াচাড়া করতাম। কারো হাতে অসংখ্য রেখা। কারো হাতে কয়েকটি রেখা ছাড়া আর কোন রেখা নাই। তবে সবার হাতেই রয়েছে। জীবন রেখা, বিদ্যা রেখা, হৃদয় রেখা, সূর্য রেখা। কোন কোন হাতে জীবন, বিদ্যা, হৃদয় রেখা একসংগে লাগানো। কারো হাতে তিনটি রেখার কোন সংযোগ নাই। কারো কারো হাতে ২টা একসংগে লাগানো।

সলোমন রিং, বিবাহ রেখা, বিদেশ রেখা এসব নিয়েই মানুষের আগ্রহ বেশী। কনিষ্ঠা আর হৃদয় রেখার পাশের সমান্তরাল দাগটি বিবাহ সংক্রান্ত রেখা। রেখার সংখ্যার উপর একাধিক বিয়ের ভবিষ্যতবাণী করে গেছেন, "কিরো"। অনামিকা আর তর্জণীর মাঝের হৃদয় রেখার উপর অর্ধচন্দ্রের মত রেখাটি সলোমন রিং নামে নামকরণ করা হয়েছে। সাধারণভাবে এ রেখা দেখা যায় না। জীবনরেখা কব্জির উপরে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলে কিরো বলছেন এ ব্যক্তি বিদেশ যাবেন। বিদেশে মরতেও পারেন। শিক্ষা রেখা কব্জির দিকে বেঁকে নিচে নেমে গেলে ব্যক্তিটি আবেগপ্রবণ হবেন। তাঁর আত্মহত্যা করার প্রবণতা অনেক বেশী হবে। এ কথাও কিরো তার বই-এ বলেছেন। মূল রেখার ত্রিভূজগুলোকে তিনি অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। মূল রেখাগুলো দৈর্ঘ্য ৭০ বছর ধরে ত্রিভুজগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করে কিরো অনুমান করেছেন কখন অঘটন বা কোন শুভ কিছু ঘটবে।

বিবাহ রেখা হৃদয় রেখার দিকে বেঁকে গেলে সুখী দম্পতি। বিবাহ রেখাটি উপর দিকে গেলে বিবাহ তেমন সুখের হবে না। কত কিছু যে বলে গেছেন কিরো তা বলে শেষ করা যাবে না।

আমরা আমাদের ভাগ্য জানতে চাই। ভবিষ্যত জানতে চাই। ঘটনা ঘটার আগেই ঘটনাটা জানতে চাই। আমাদের এই জানার ইচ্ছাকে নিয়ে একদল লোক টিয়া পাখি, অক্টোপাস, প্যামিষ্ট্রি, নিউমেরোলজি, সামুদ্রিকা এ সব বিদ্যা দিব্বি চালাচ্ছে। এসব নিয়ে যখন ভাবছি হঠাৎ মনে হলো, জটাধারী কি কোনদিন কিরো পড়েছে। বার বার নিজেকে জিজ্ঞাসা করলাম। হ্যা না কোন জায়গায় দাঁড়াতে পারলাম না। জটাধারী ব্যবসা করলে সবার সংগে তো এ কাজ করতে পারতো। সে তো করেনি। তাহলে আমার সাথে সে কেন করলো?

দুই বছর পার হয়ে গেছে। এসএসসি পরীক্ষার জন্য আবার রাজশাহী যেতে হলো। ল্যাবরেটরী স্কুলে সিট পড়লো। আবারও সেই আগের বাসায় উঠলাম। ল্যাবরেটরীর স্কুলে সিট দেখে কলেজিয়েট স্কুলের সামনে এলাম। উদ্দেশ্য, জটাধারীকে দেখা। ইচ্ছা ছিল জটাধারীকে জিজ্ঞাসা করবো,
"তুমি কে? সবার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছ না, কেন?"
কলেজিয়েট স্কুলের গেটের সামনে এসে দাঁড়ালাম। জায়গাটা ফাঁকা। জটাধারী নাই। কষ্ট পেলাম। পরীক্ষা শেষ হলো। গোদাগাড়ী ফিরে গেলাম। এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট হলো। রাজশাহী কলেজে ভর্তি হলাম। রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয়ে নিউ কলেজ হোস্টেলে উঠলাম।
কলেজে শহরের অনেক ছাত্র ভর্তি হয়েছে। তাঁদের কাছে জটাধারী একজন ভৌতিক মানুষ। একজন বললো, "সে কোনদিন খাওয়া-দাওয়া করতো না। ও টাকা দিয়ে কি করবে?"
অন্য আর একজন বললো, "জটাধারী মানুষ নয়"। যে যাই বলুক, আমার কাছে জটাধারী পামিষ্ট। সে আমাকে বলেছিল, "তুই বৃত্তি পাবি"। আমি বৃত্তি পেয়েছি। ও বলেছে আমি পড়াশুনা করতে বিদেশ যাবো। ওর এ কথাটা সত্য হোক আমি চাই। হঠাৎ মনে পড়ে গেল, ও আরো বলেছিল, আমি এক্সিডেন্ট করবো, "আমি চাই না। কিন্তু জটাধারীর এ কথাগুলো সত্য হোক"।

মানুষের ভুত-ভবিষ্যত সবকিছু ভালো মন্দ মিলিয়ে। আমরা শুধু ভালোটা চাই। খারাপ কোন কিছু আমাদের কাম্য নয়। তাই গণকরা তাদের নিজেদের জন্য আলাদা একটা ভাষা তৈরী করে নিয়েছে। ওরা এমনভাবে কথা বলে তাতে ভালো মন্দ দুটোই বেশ পরিচ্ছন্নভাবে উপস্থিত। জটাধারীর ভাষা ছিল পরিস্কার।

রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলাম। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছি। বুলগেরিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের স্কলারশীপ-এর জন্য আবেদন করলাম। পেয়েও গেলাম। জটাধারীকে মনে পড়লো।

বুলগেরিয়ায় লেখাপড়া শেষ করলাম। পরের সপ্তাহে দেশে ফিরে আসবো। টিকেট, পাসপোর্ট ভিসা এসব নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। জটাধারীকে মনে ছিল না। রাস্তা পার হবো, হঠাৎ একটা গাড়ী ধাক্কা মারলো। এ ধাক্কায় হাসপাতালে প্রায় ৩ মাস। জটাধারী আমাকে গ্রাস করে ফেললো। কোনমতে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরলাম। বেকার হিসেবে দিন কাটাচ্ছি।

জটাধারীকে অমর করতে চাই। বিসিএস পরীক্ষা দিবো। প্রতিদিন পত্রিকায় বিসিএস-এর বিজ্ঞাপন খুঁজি। আর রাশিফল দেখি। জন্ম তারিখের সুবাদে আমি কুন্ড রাশির জাতক। অদ্ভুত প্যাচানোভাবে কিছু কথা লিখে রাখে পত্রিকার রাশিফল গুলোতে। আমি জানি এসবের কোন মানে হয় না। তারপরও আমি প্রতিদিন রাশিফল পড়ি। পর মূহুর্তেই ভুলে যাই রাশিফলে কি লিখা ছিল। প্রতিদিন একটি কথা আমার রাশিফলে লিখা থাকে-
"অন্যের পরামর্শে কোন কাজ করবেন না"।

সরকারী চাকুরীজীবি হিসেবে সহকারী সচিব থেকে যুগ্ম-সচিব পর্যন্ত সব কর্মকর্তার পরামর্শে প্রতিদিন গাদা গাদা নথি নিষ্পত্তি করি। এটা করা ছাড়া আমার কোন কিছু করার নাই।

অবশেষে ১৯৮২ সালে বিসিএস পরীক্ষা দিলাম। সহকারী সচিব হিসেবে চাকুরীতে শিল্প মন্ত্রণালয়ে যোগদান করলাম। অনেক চড়াই উৎরাই পার করে আমি আজ (০৬ জুন ২০১১) বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত সচিব। জটাধারীর সেই ভবিষ্যতবাণী ঠিক হয়েছে কি? মাঝে মাঝে এ নিয়ে ভাবি। জটাধারী কি গণক? আসলে জটাধারী কে?