‘তড়কা’ রোগের ইংরেজী নাম এ্যানথ্রাক্স। হঠাৎ করেই শব্দটা আমাদের দেশে পরিচিতি পেয়েছে। তড়কা আসলে গরু ছাগলের রোগ। এটা হলে গরু ছাগলের মুখ দিয়ে লালা পড়ে। পেট ফুলে যায়। লক্ষণ দেখা দেয়ার দু’এক দিনের মধ্যে পশুগুলো মারা যায়।
তড়কা নতুন কোন রোগ নয়। আমার জন্মের পর থেকেই এ রোগ দেখছি। গবাদি পশু মরেছে। আমরা ভাগাড়ে ফেলে দিতাম। গ্রামে বড় হয়েছি। তখন মানুষজন কম ছিল। গ্রামে কোন গোরস্থান ছিল না। কিন্তু প্রতিটা গ্রামে একটা ভাগাড় ছিল। লোকালয় থেকে দূরে চাষের উপযোগী নয়, পাশে কিছু ঝোপ জংগল সরকারী পুকুরের পাশে পতিত একটা জায়গা ছিল ভাগাড়। গরু ছাগল মারা গেলে ভাগাড়ে ফেলে দিতাম। ভাগাড়ের জংগলে বেশ কিছু মোটাতাজা শেয়ালের বাস। মরা পড়লেই তারা খুশি। অন্য দিকে মানুষজন মারা গেলে বাড়ীর পাশে একটা ছোট জায়গা নিদৃষ্ট ছিল কবরস্থান হিসেবে। মানুষজনকে পারিবারিক কবরস্থানেই কবর দেয়া হয়। ১৯৬২ সালে বাবা মারা গেলেন। তাঁকে বাড়ীর পাশের পারিবারিক কবরস্থানেই কবর দিলাম।