শূণ্যতা-গ্যাপ

Category: Education Written by Md. Rafiqul Islam Hits: 6099

দলীয় কর্মকর্তা নির্বাচনে বাক্স বদল করে ইচ্ছামত প্রার্থীদের হারায়, জিতায় এটা ভোটারদের বিশ্বাস। লোহার বাক্সে নম্বর নাই বদল করা সহজ। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর দাবী ও চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন নম্বরযুক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও নম্বরসহ সিল চালু করার সিদ্ধামত্ম নিলো। ইউএনডিপির মাধ্যমে কানাডীয় সিডা ৪৬ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। প্রকল্প প্রণয়ন ও পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন হয়েছে। প্রকল্পের জনবল ট্রেনিং অর্গানাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। নাম মৌমিতা আসাদ।

যোগদান করার পর সৌজন্য সা¶v‡Z এসেছে। আমি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক। কথার ফাঁকে সে জানালো; তাঁর চারটা প্রথম শ্রেণী। জিজ্ঞাসা করলাম;

-‘‘ চারটা ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে আগে কোন চাকুরীতে ঢুকলেন না কেন?’’ জবাব শুনে অবাক হলাম।

-‘‘ স্যার কয়েক শত পরী¶v দিয়েছি সব ক’টা লিখিত পরী¶vয় টিকেছি। মৌখিক পরী¶vও দিয়েছি চাকুরী হয়নি। এখানে হবে আশাও করিনি স্যার। নিয়োগপত্র পেয়ে অবাকই হলাম। যাই হোক প্রকল্পে হলেও শেষ পর্যমত্ম চাকুরী হয়েছে। তাই যোগ দিলাম।’’

অবাক হয়ে তার কথা শুনছিলাম। চারটা প্রথম শ্রেণী। লিখিত পরী¶vয়ও পাশ করেছে। তাঁরপরও চাকুরী হয়নি। কেন? ভেবে পাচ্ছিলাম না। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম;

-‘‘ সর্বশেষ মৌখিক পরী¶v কোথায় দিয়েছিলেন?’’ জবাবে জানালো;

-‘‘ বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্রে, সহকারী পরিচালক পদে।’’

-‘‘ মাঝপথে তাঁকে থামিয়ে দিয়ে জানতে চাইলাম। কি প্রশ্ন করেছিলেন? মনে আছে? বলতে পারো?’’ হালকা ভাবে জানালো;

-‘‘ কোন প্রশ্ন করেনি স্যার।’’

-‘‘ বাংলাদেশের শি¶v ব্যবস্থা সমন্ধে আমাকে বলতে বলেন। আমি খুব ভালো উত্তর দিয়ে ছিলাম স্যার। কিন্তু চাকুরীটা হলো না।’’ তাঁকে শাত্মনা দিলাম;

-‘‘ কি আর করবা। অনেক কিছুই জীবনে হয় না। মানুষ চায় এক, হয় অন্য।’’

 

আরও বললাম;

-‘‘ কিছু মনে না করলে বল, তোমার জবাবটা কি ছিল।’’

আমি মনে ভেবেছিলাম, সে বিব্রত বোধ করবে। কিন্তু না; বরং খুশি হলো। সে তাঁকে জাহির করার জন্য শুi“ করলো;

-‘‘ শি¶vই জাতির মেরদন্ড। কোন দেশ শি¶v ছাড়া উন্নতি লাভ করতে পারে না। উন্নতির জন্য সবার আগে শি¶vর দরকার। শি¶v জাতির জন্য সব চেয়ে গুরত্বপূর্ণ। যে জাতি শি¶vর গুরত্ব অনুধাবন করতে পারে না সে জাতি কোন উন্নতি করতে পারে না।’’

তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে বললাম;

-‘‘ তোমাকে বংলাদেশের শি¶v ব্যবস্থা সমন্ধে বলতে বলেছিলেন। তুমি তো ভাই এ সমন্ধে কোন কিছুই বলছো না। এতণ যা বললা তাঁর কি কোন মানে হয়! শি¶v, শি¶v ব্যবস্থা, বাংলাদেশ সব কিছুই অনুপস্থিত। তোমাকে তাঁরা কি ভাবে মার্ক দিবে?’’

আমার মত্মব্য শুনে মৌমিতা লজ্জা পেল অবাকও হলো। জানতে চাইলো;

-‘‘ এটা না হলে আমি কি বলতাম? কি বলতে হতো? সবাইতো এটাইতো বলে।’’

অবাক হয়ে জানতে চাইলাম;

-‘‘ সবাই এটাই বলে? এগুলোতো অপ্রাসংগিক। তা হলে কেন বলে?’’

সে আরও অবাক হয়ে জানতে চাইলো;

-‘‘ এগুলো অপ্রাসংগিক হলে, প্রাসংগিক কি, স্যার, বুঝলাম না? একটু বলবেন।’’

মাস্টারী করা আমার অভ্যাস। লোভ সামলাতে পারলাম না। বললাম;

-‘‘ তুমি জবাবটা এভাবেও দিতে পারতে।’’

শি¶v একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে মানুষের মানসিক বিকাশকে উন্নত উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এ জন্য শি¶vদান, পর্যায়ে শি¶v গ্রহণকারীকে তথ্য, জ্ঞান, দতা দেয়া হয় দীর্ঘসময় ধরে। শি¶v দান প্রক্রিয়ার সময়টাকে সব দেশের মত বাংলাদেশেও তিন ¯Íরে ভাগ করা হয়। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চত¯Íi । শি¶vর মাধ্যম নানা দেশে নানা রকম। তবে কোন কোন দেশে অনেকটা মাধ্যম চালু আছে। বাংলাদেশে বাংলা মাধ্যমের পাশা-পাশি ইংরেজি মাধ্যমের ‘এ’ লেভেল ‘ও’ লেভেল; আবার আরবী মাধ্যমের মাদ্রাসা শি¶vও চালু রয়েছে।---------’

আমি একটু দম নিলাম। এ সুযোগে মাঝে ঢুকে পড়ে বললো;

-‘‘ আমাদের এভাবে কোন দিন শিখানো হয়নি কেন ?’’

-‘‘ জানি না কেন শেখানো হয়নি? তবে জবাব দেবার সময় আমাদের তো একটু ভাবা উচিৎ প্রশ্নটা কি ? আমরা তো ভাবছি না। ভাবনা চিšÍv ছাড়াই জবাব দিচ্ছি।

-‘‘ প্রশ্নটা প্রায় পরী¶v‡ZB করে। দয়া করে ইংরেজীতে বললে আমরা উপকৃত হতাম।’’ মাসুদ মšÍব্য করলো।

-‘‘ ঠিক আছে। বলে শুi“ করলাম।

-‘‘ Education is a process for up gradation of Status of mind, by providing information, Knowledge and Skill. This long process is usually divided into three steps; Primary, Secondary and Higher Education. As like many other countries medium of instruction for the Education System are different. For example, ‘A’ level, ‘0’ Level English medium, Madrasha education Arabic Medium etc.

থামলাম। পরে জানালাম,

-‘‘ প্রশ্ন শুনে এভাবে জবাব দিলে প্রাসংগিক হবে।’’

-‘‘ এ সবের জন্য কে দায়ী?’’ আমার কাছে জানতে চাইলো;

জবাব কি দিবো ভাবছিলাম। এক সময় কোন কিছু না ভেবেই বলে ফেললাম;

-‘‘ আমাদের অজ্ঞতা। আমাদের অবহেলা।’’

-‘‘ আমাদের যেমন অজ্ঞতা আছে; একই অজ্ঞতা তো পরীকদেরও থাকতে পারে। তখন হিতে বিপরীত হবে না তো?’’ জবাবে জানালাম;

-‘‘ আমার মনে হয় না হিতে বিপরীত হবে! তবে ভিন্ন একটা মাত্রা যোগ হবে। এতে তাঁদের মনে অনেক প্রশ্নের উদয় হবে।’’ মাসুদ জানতে চাইলো;

-‘‘ আমাদের কি করতে হবে; সেটা বলেন স্যার।’’

বলার কিছুই নাই। প্রশ্নটা মনযোগ দিয়ে শুনবেন। একটু ভেবে জবাব দিবেন? কেন প্রশ্নটা করা হয়েছে? কি জানতে চায়। তারপর জবাব দিন। যে জবাব দিবেন তার প‡¶ আপনার যুক্তি থাকতে হবে। যুক্তি গুলো ঠিক মতো তুলে ধরবেন।

স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস করে দু’বার বাড়ানো হলো। আর সম্ভব নয়। মৌমিতা চাকুরী খুজছে। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক, প্রশিণ চাকুরীতে ইসতফা দিয়ে চলে গেল। পদটি শূণ্য পূরণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারী হয়েছে। মৌমিতা পরী¶v দিলো। লিখিত পরী¶vয় ভালো করেছে। মৌখিক পরী¶v চলছে। আমি মৌখিক পরী¶v বোর্ডের সভাপতি। আফগানি¯’vন, ইরাক যুদ্ধ করতে করতে আমেরিকা নিঃস্ব। ইউরোপকে যুদ্ধে এনে তাঁদের অর্থনীতিরও নাজে হাল দশা। বিশ্বমন্দা ধীরে ধীরে পৃথিবীকে গ্রাস করছে। প্রতিদিন মন্দার খবর কাগজের পাতায়। বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদদের দাবী বাংলাদেশের দু’টি সেক্টর সবচেয়ে বেশী তিগ্রস্থ হবে। এ গুলো;

- তৈরী পোষাক শিল্প,

- বিদেশে জনসম্পদ রপ্তানী।

রফতানী কম, টাকার অবমূল্যায়ন হবে, কর্মসংস্থান কমবে। পত্রিকায় এসব পড়তাম আর হাঁসতাম। মাঝে মাঝে মৌমিতা জিজ্ঞাসা করতো;

-‘‘ হাঁসছেন কেন স্যার।’’ জবাবে বলেছি;

-‘‘ ছোট বেলায় শুনেছি, মস্কোয় বৃষ্টি হলে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিরা ঢাকায় ছাতা খুলে।

এখন দেখছি আমাদের অর্থনীতিবীদরা ইউরোপের অর্থনীতির পাতা থেকে গড়গড় করে আওড়াচ্ছেন। সে অবাক হতো। জানতে চাইতো;

-‘‘কেন স্যার? বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশে কোন তি করবে না?’’ জবাবে বলতাম;

আমেরিকা ও ইউরোপে মন্দা; তাঁরা চামড়ার জ্যাকেট পরতে পারবে না। পুরাতন মেশিন ফেলে দিয়ে নতুন মেশিন কিনতে পারবে না। চামড়ার জায়গায় হোসিয়ারী পরবে। নতুন মেশিন কিনতে পারবে না, তাই রিপিয়ার করবে।

অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। বললো;

-‘‘ কিছুই বুঝলাম না। ’’

জবাব দিলাম;

-‘‘ আমরা চামড়ার জ্যাকেট তৈরী করি না। চামড়ার জ্যাকেট কিনতে পারবো না, হোসিয়ারীর চাহিদা বাড়বে। আমাদের রপ্তানী বাড়বে। আমাদের লোকেরা যন্ত্র তৈরী করে না। মন্দার কারনে নতুন মেশিন কিনতে পারবে না। রিপিয়ার করতে হবে। রিপিয়ার কাজে আমাদের লোক বেশী করে নিতে হবে। জন সম্পদ রপ্তানী বাড়বে। কমবে না!’’

মৌমিতার মাথায় কথা গুলো ঢুকে গিয়েছিল। ছবিসহ ভোটার তালিকার, ট্রেনিং অফিসার পদে নিয়োগে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান মনিরা জিজ্ঞাসা করলো;

-‘‘ বর্তমান বিশ্বমন্দা বাংলাদেশের কোন কোন খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে?’’

মৌমিতা জবাব দিলো;

-‘‘ প্রভাব ফেলবে কি স্যার?’’

মনিরা অবাক হয়ে বললো;

-‘‘ এটা জানো না। পত্র পত্রিকায় প্রতিদিন লিখছে।’’

বুঝলাম আমার জন্য সে ভিকটিম হতে পারে। তাই আমি বললাম;

-‘‘ মনিরা লিখছে বটে, তবে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।’’

মনিরা কথা বাড়াইলো না। তবে মনে নিলো বলে মনে হলো না।

আমি আমার আর একটি লিখায় ঘটনাটা লিখেছি। তবে এখানেও অবতারণা করতে হলো। বেচারার চাকুরীটা হলো। পরে একদিন বললো;

-‘‘ আপনি না থাকলে বিপদ হতো। আপনার মতামত আর বলা যাবে না।’’

ভাবছি আমাদের শি¶v ব্যবস্থায় কোঁথাও একটি গ্যাপ আছে। আমাদের শূণ্যতায় পেয়ে বসেছে।

আমি হেয়ালি করে বললাম;

-‘‘ মানুষ তার শূণ্যতা নিয়ে থাক। আমি কেন পূর্ণ হবো না?’’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে কাজ করছি। বেশ কিছু ইণট্রার্ন-এ মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছে। আমি তাদের ডেকে পাঠালাম। এক এক করে সবাইকে জিজ্ঞাসা করলাম;

-‘‘ এখানে আসার আগে কি করতেন?’’ সবার এক জবাব,

-‘‘ এই তো স্যার। এই সব। চাকুরী খুজছি।’’ বললাম;

-‘‘ তোমাদেরকে নিয়ে বিপদ, তোমরা সোজাসুজি কিছু বলতে পারো না।’’

জবাবে নিগার বললো;

-‘‘ কেন পারবো না স্যার। আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, সোজাসুজি টু-দ্যা পয়েন্ট

জবাব দিবো।’’ তাঁর সাথে রশিকাতা করার ইচ্ছে হলো। জিজ্ঞাসা করলাম;

-‘‘ আচ্ছা বলতো রেখা কাকে বলে?’’ জবাবে জানালো;

-‘‘ আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী। আপনি ঠাট্টা করছেন।’’ জবাব দিলাম;

-‘‘ না, জানতে চাই।’’ জবাবে বললো;

-‘‘ দু’টো বিন্দু যোগ করলে রেখা তৈরী হয়।’’ আমি পাল্টা জানতে চাইলাম;

-‘‘ ভাই আমি জানতে চেয়েছি, রেখা কাকে বলে। তুমি বলছো রেখা কেমন করে তৈরী হয়। এটা কোন জবাব হলো?’’ নিগার অবাক হয়ে বললো;

-‘‘ তাইতো স্যার। এটাতো জবাব নয়। তা হলে আগে তো কেউ কোন কথা বলেনি। তাঁরা এটাই সঠিক বলে মেনে নিয়েছে।’’

জবাবে বললাম;

-‘‘ মেনে নিয়েছে কারণ তাদেরও রেখার সংগা জানা ছিল না।’’

-‘‘ কে যেন একজন জানতে চাইলো; সঠিক জবাবটা তা হলে কি?’’

-‘‘ বিন্দুর চলমান পথকে রেখা বলে।’’ জবাব শুনে সবাই চুপ করে রইল।

আমরা আসল কথা বলি না। আসল কাজ করি না। আশ-পাশ দিয়ে ঘুরি। ভিতরে ঢুকি না বা ঢুকতে পারি না। তাঁদেরকে নিয়ে নতুন একটা খেলা খেলার ইচ্ছে হলো। তাঁরা সবাই আইসিটি গ্রাজুয়েট। ভাবলাম তাঁরা আইসিটি সমন্ধে ভালো জানবে।

জিজ্ঞাসা করলাম;

-‘‘ Tell me about ICT in Bangladesh.

একজন জবাব দিলো;

-‘‘ ICT development in Bangladesh is not that much good but Bangladesh made significant progress. Bangladesh created ICT Ministry……”

তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বললাম;

-‘‘ Development is not that much good but made significant progress.’ Statement টা Contradictory, একই সংগে Sweeping comment. তথ্য ও উপাত্ত ছাড়া কোন কিছু বলা কি সঠিক?’’

-

সাজিদ জবাব দিলো;

-‘‘ কি বলবো স্যার! সবাইতো এ ভাবেই বলে। আমরাও এভাবেই বলি।’’

মনে মনে ভাবলাম, হ্যাঁ এটাই ঠিক। তাঁরা এ ভাবেই বলে। তবে এদের ভাবনা গুলিকে আশ-পাশ থেকে কেন্দ্রমুখি করা দরকার।

বললাম;

-‘‘ তোমরা ধরেই নিয়েছো আমি Information and Communication Technology সমন্ধে জানতে চেয়েছি। এছাড়াও আরও একটি ICT আছে, International Crime Tribunal.’’ যাই হোক এভাবেও বলা যেত,

-‘‘ ICT is the most popular jargon both for technical and political area. For Technical people ICT is ‘Information and Communication Technology’, but for political and general mass, it is ‘International Crime Tribunal.’ History Information and Communication Technology in Bangladesh is not very old, it started around nineties. As per Gartner’s report, Bangladesh is the 30th outsourcing destination, Dhaka is the forth City. Cell phone penetration is about 98%, on the other hand, internet is 18%, Before 3 years it was 48% & 3% respectively.

হঠাৎ করে আমার মাথায় ভুত চাপলো, পিচ্চি গুলোকে কিছুটা মানুষ বানাতে হবে।

ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডে উচ্চ শিÿvর জন্য কয়েকবার যেতে হয়েছে। এজন্য প্রতিবার আইএলটিএস পরী¶v দিয়েছি। চারটা পাটের্র পরী¶v। শুনে উত্তর, পড়ে উত্তর, লিখে উত্তর, শেষে মুখে উত্তর দিতে হয়। প্রতিটিতে ১ থেকে ৯ টি ব্যান্ড আছে। উচ্চ শি¶vর জন্য মোট স্কোর ৬.৫ এর কম হলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায় না। মৌখিক পরী¶vয় একবার জিজ্ঞাসা করলো;

-‘‘ Tell me something about the birds in Bangladesh.

প্রতিদিন কত পাখি দেখি; পাখির কিচিরমিচির, কাকের কাকা কান ঝালাফালা করে দেয়। তারপরও কি বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। পিচ্চি গুলোকে নিয়ে মজা করার জন্য বললাম;

-‘‘ Tell me something about the birds in Bangladesh.

হাi“ন বললো;

-‘‘ স্যার আমাকে বলতে হবে?’’

জবাবে জানালাম;

-‘‘ জী হ্যাঁ আপনাকেই।’’ শুনে তাঁর মাথায় আকাশ ভেংগে পড়লো। মুখে কোন কথা নাই। ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে। তাড়া দিলাম;

-‘‘ কি হলো শুi“ কর।’’ আমতা আমতা করতে বললো;

-‘‘ There are many types of birds in Bangladesh. Some birds are big, some are small. Some birds are beautiful to look at. They lay eggs.”

আমি তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বললাম;

-‘‘ আমি বাংলাদেশের পাখি সমন্ধে কোন কিছুই জানতে পারলাম না।’’

রাজু জানতে চাইলো;

-‘‘ Birds in Bangladesh সমন্ধে বলতে হলে আর কি বলবো। আমি এর চেয়ে ভালো কিছু পারবো না। স্যার আপনিই বলেন।’’

-‘‘ বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান এখানকার পাখিদের অন্য জায়গার পাখিদের থেকে আলাদা করে। তাই Birds in Bangladesh সমন্ধে বলতে গেলে প্রথমে বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য তাঁর উপর ভিত্তি করে এখানকার পাখিদের কথা বললে মোটামুটি সব কিছু বলা হয়ে যাবে।’’

একজন অনুরোধ করলো;

-‘‘ বলেদিন না স্যার কি দিয়ে শুi“ করবো?’’

-‘‘ ভেবে পাই না, কেন এই অনুরোধ, কেন এই শূণ্যতা, কোথায় এর জন্ম। অনুরোধ র¶v করার জন্য শুi“ করলাম।’’

-‘‘ Bangladesh is a topical country. Located on the bank of Bay of Bengal and known as gangs’ delta. Lot of rainfull take place during rainy season. The land remains under water for about 6 months. Local domestic and forest birds are water dependent like ducks, Starks etc. Lot of migratory birds are coming from northern pole during winter for availability of food in the submergible lands. During winter the sky is covered by birds, which is really eye catching.”

আর ভালো লাগছিলো না। বললাম এভাবে তোমরা টপিক্সটা ডেভেলপ করতে পারো। এই টেকনিকটা শিখলে আইএলটিএস নিয়ে ভাবতে হয় না। হঠাৎ প্রয়োজনে গলদঘর্ম হতে হয় না। এ সুযোগে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সংগে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান মানুষজনও আমাদের কাছ থেকে অহেতুক টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে পারে না।

নিগার বললো;

-‘‘ এ শূণ্যতা পূরনের দায়িত্ব কার?’’

জবাবে জানালাম,

-‘‘ শি¶v ব্যবস্থার, স্কুলের শি¶K‡`র।’’

নিগার আবারও জানতে চাইলো;

-‘‘ তাঁরা তাদের দায়িত্ব পালন না করলে আমাদের কি করার আছে?’’

জবাবে জানালাম আছে;

-‘‘ আইন শৃংখলা র¶vর দায়িত্ব পুলিশের। আমাদের কি কোন দায়িত্ব নাই। আমরা কি রাতে দরজা খুলে ঘুমাবো ?’’ কে যেন বললো;

-‘‘ ঘুমাতে পারলে মন্দ হোত না। তবে আমি সিওর ঘুম আসবে না। দরজা লাগাতে হবে।’’

আইএলটিএস নিয়ে আগ্রহের শেষ নাই। একজন জানতে চাইলো এ পরী¶vয় আর কি কি জিজ্ঞাসা করে স্যার।

-‘‘ আর কি কি জিজ্ঞাসা করে।’’ জবাবে বললাম তেমন কিছু নয়। অতি সাধারণ বিষয়। কিন্তু সাধারণ বিষয়গুলো নিয়ে বলতে গেলে অসাধারণ মনে হয়। বলতে গেলে মুখ দিয়ে কিছুই আসে না। একবার এক মোটা বাঙালী মহিলা কর্কশ গলায় জানতে চাইলেন;

-‘‘ Tell me something about trees and Bushes in Bangladesh.”

পরে জেনে ছিলাম তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শিকা, তাঁর গলারস্বর শুনে আমার পেট পর্যšÍ পানি শূণ্য হয়ে গিয়েছিল। জিজ্ঞাসা করলাম;

-‘‘ এক গেলাস পানি পান করতে পারি।’’

ভদ্র মহিলা মুখে কোন কথা না বলে টেবিলে পানির গেলাস আর জগ দেখিয়ে দিলেন। উঠে খেয়ে এসে বসলাম। ভদ্রমহিলা তাগাদা দিলেন;

-‘‘ Have your water?” জবাবে বললাম;

-‘‘ Yes mam.” আবার সেই কর্কশ গলা;

-‘‘ Now Start. I don’t have enough time to spend.”

শুi“ করলাম;

-‘‘ Bangladesh is a topical Country lies on the Bank of Bay of Bengal. Lot of Rainfalls takes place all over the year. During Manson, rain fall takes its pick. River are over flown, lands are under water. The land produces lot of rain trees and submergible bushes. As like any other Countries Some trees are used for fire woods and furniture’s, some provide fruits, Some are decoration and flowers. Bangladesh is famous for its mangrove. Forest Clays Coming from Himalayas, do not contain any air to take breath by its roots. For Survival they upright its roots the air, Those are mangrove. Our mangrove forest is full off Sundori, As such the largest mangrove forest is called Sundorbon. It is also natural lteritage. All water bodies are full with lilies, Some are white, some are red like blood. You may observe the beauty when you are passing. Beauty of lily’s are really eye caching. Its leaps are like plats flouting on the water inviting you to have your mitt meal.”

দম নিলাম। ভাবছি,

আমরা নিউটনের গতিশক্তি, মধ্যাকর্ষণ শক্তির মতো জটিল জিনিস গুলো জানি। অতি সাধারণ পাশের গাছ পালা নিয়ে কোন কথা বলতে পারি না।

শারমিনের গা দিয়ে ফুরফুর করে গন্ধ আসছে। হঠাৎ কি মনে হলো তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম;

-‘‘ চমৎকার গন্ধ। বলতে পারো সুগন্ধ আর দূগন্ধের কারন কি?’’

-‘‘ একজন বললো পঁচা জিনিষের জন্য দূগন্ধ আসে?’’ জানতে চাইলাম।

-‘‘ সুগন্ধ কোথা থেকে আসে?’’ জবাবে জানালো;

-‘‘ ফুল থেকে?’’

-‘‘ তুমি ফুল না তোমার কাছে ফুল আছে?’’ জানতে চাইলাম।

-‘‘ পারফিউম মেখেছি।’’ জবাব দিলো।

-‘‘ ওটা কি?’’

-‘‘ জানি না?’’

বললাম;

সুগন্ধের জন্য দায়ী হাইড্রোকার্বন, দূর্গন্ধের জন্য হাইড্রোসালফেট। সব ফুল সুগন্ধি নয়। মালোশিয়ার জংগলে ফোঁটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুল। গন্ধ পঁচা মাংসের মত।

নাজিয়া সুলতানা জানতে চাইলো;

-‘‘ ফুল দূর্গন্ধ যুক্ত হবে কেন?’’

-‘‘ হয়।’’ কারন তার পরাগ রেনুগুলো এত বড় যে তা মৌমাছি বহন করতে পারবে না। এ জন্য শেয়াল, কুকুরের মুখ দরকার। শেয়াল কুকুরকে আকৃষ্ট করতে এ ফুলটার গন্ধ পঁচা মাংসের মতো।’’

বললাম, জানো সিলেটে আগর গাছে কাঁটা মেরে হাইড্রোকার্বন সৃষ্টি করা হয়। পরে এই কাঠ জ্বাল দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় আগর সুগন্ধি তৈরী করা হয়। অবাক হয়ে সবাই জানতে চাইলো;

-‘‘ এ সব আমাদের পড়ানো হয়নি কেন? আমরা জানি না কেন? আপনি জানতে গেলেন কেন?’’

-‘‘ প্রয়োজন তাই জেনেছি।’’ না জানলে শূণ্যতায় হাবুডুবু খাওয়া। গ্যাপে পড়ে চারটা ১ম শ্রেনী নিয়ে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছুই হতো না। আজ সিদ্ধামত্ম নিতে হবে কি করবো।’’ তাঁরা জানতে চাইলো;

-‘‘ এ সবের শেষ কবে হবে?’’ হাঁসতে হাঁসতে জবাব দিয়ে দিলাম।

-‘‘ এ শূণ্যতা, এ গ্যাপ যে দিন পূরণ হবে।’’

আমি হাঁসছি। ওরা তাকিয়ে আছে? চোখে হাজারো প্রশ্ন।