অফিস, বাজার, বিদেশ থেকে ঘরে ফিরি। এ ঘরে ফেরা কোন অনুভূতি সৃষ্টি করে না। তবুও যান্ত্রিক এই ঘরে ফেরাও লক্ষণীয়। ৫টার আগেই কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ গুটানো শুরু করেন। ঠিক পাঁচটায় অফিস গেইটে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা। একটা গাড়ী অফিসের কাজে বাহিরে গেছে। পাঁচটার পরও ফিরছে না। ও গাড়ীর যাত্রীদের অন্তহীন অভিযোগ। উপ-সচিব, সাধারণের অভিযোগ শুনতে শুনতে অতীষ্ঠ হয়ে অনুযোগ;
'আমি কোন কথা শুনবো না। আজই সব গাড়ী বন্ধ করে দিবো।' অনুযোগ করলেও গাড়ী বন্ধ হয় না। অভিযোগ অনুযোগ নিয়েই আমাদের প্রতিদিনের ঘরে ফেরা। দেশেই ট্যুর থেকে ঘরে ফিরি। বিদেশ থেকে ঘরে ফেরা একটু আলাদা। ঘরে ফেরার সময় আত্মীয়-স্বজন মাঝে মধ্যে এয়ারপোর্টে রিসিভ করে বিদেশ থেকে ঘরে ফেরার সুযোগ আমার অনেকবার হয়েছে। ১ম বার বুলগেরিয়ায় পড়াশুনা করতে ৭৪ সালে বিদেশ গেলাম। টানা ৭ বছর ঘরে ফেরা হয়নি। ৮২ সালে ঢাকা আসলাম। ৭ বছর ঘরে ফেরা হয়নি; কোন তাড়া ছিল না। ঢাকা এসেই আর সহ্য হচ্ছে না। মনে মনে বললাম,
'ঢাকায় এক রাতও নয়। আজকেই ঘরে ফিরতে হবে।'
ফিরবো কি করে? আমার লাগেজ পাওয়া যাচ্ছে না। টিকিট, লাগেজ, স্লিপ নিয়ে এক কর্মকর্তার কাছ থেকে আর একজনের কাছে ছোটাছুটি করছি। সবার এক জবাব,
'অভিযোগ করেন। আমরা দেখবো। ক'দিন পরে এসে খবর নিবেন।'