১৯৭০ সাল, মুসলিম লীগের একছাত্র আধিপত্য ভেংগে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে, অন্যদিকে জুলফিকার আলী ভূট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি পশ্চিম পাকিস্তানে নির্বাচনে জয় লাভ করলো। জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদের আসন বন্টন হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানে বাংগালী জনসংখ্যা বেশী; তাই আসন সংখ্যাও বেশী। বেশী আসন পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা রাজি নয়। টালবাহানা শুরু হলো। কোন কারণ ছাড়াই পাকিস্তান পিপলস পাটির ভুট্টোর সংগে আলাপ-আলোচনা শুরু করলো। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পিপিপি ভুট্টোর নাম মুখে মুখে জুবছে। বাংগালীরা ঘৃণা ভরে উচ্চারণ করছে শব্দ দু’টো। তখনও পিপিপি-র অন্য কোন মানে বাংলার মানুষের জানা নাই।
১৯৬৮ সালের দিকে বাটা বাংলাদেশের গ্রামে স্পঞ্চ স্যান্ডেল আনলো। দাম ৬ টাকা। এক মন ধান বেঁচলে ৮ টাকা পায়। স্পঞ্চের এক জোড়া স্যান্ডেলেই টাকা শেষ। ১৯৭৫ সালে অর্থনীতি শাস্ত্রে বুলগেরিয়ায় পড়াশুনা করছি। এক কেজি চাল ৬০ স্ততিনিজ; বুলগেরিয়ার পয়সার নাম; টাকার নাম লেভা। এক লেভা সমান ১০০ স্ততিংকি। সরকারী ভাবে এক লেভা এক ডলার দশ সেন্ট। কালো বাজারে ৩-৪ লেভা দিয়েও এক ডলার মেলা ভার। ৬০ স্ততিংকি চালের কেজি, অন্য দিকে ২০-২৫ স্ততিংকিতে ভালো এক জোড়া স্পঞ্চ মেলে সহজেই। কারণ বুঝিনা।