অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে এক পেয়ালা চা, ইদানিং কালে কফিও যোগ হয়েছে। আলাপের সাথে অফিসের কাজ সেরে নি। এ সময় ছোট খাটো আড্ডা জমে উঠে। এমনি একটা আড্ডা চলছিল। সুসেন, যুগ্ম-সচিব হাই-টেক পার্কের এমডি কয়েক দিন পর চীন যাবেন; এসিএডি কোর্সের অংশ হিসেবে আগেও চীন ঘুরে এসেছেন। তথ্য প্রযুক্তিতে চীনের বিস্ময়কর উন্নয়ন সুসেন দেখে এসেছেন। সে অবাক হয়ে বললো;
‘‘- আমরা গণতন্ত্র গণতন্ত্র করছি স্যার। গণতন্ত্রের জন্য বাসুনিয়ারা জীবন দিচ্ছে। দেশ কি পেলো। সেই তো যেখানে ছিলাম সেখানেই রয়ে যাচিছ। চীন গণতন্ত্র ছাড়াই আজ কোথায় ?’’
‘‘- কি বলতে চান, সেটা বলেন।’’ জানতে চাইলাম। জবাবে সে বললো;
‘‘- গণচীনে দেখলাম সমাজতন্ত্রের মধ্যেই তাঁরা গভীর সমুদ্রে পোর্ট, তথ্য প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর সাফল্য, গণতান্ত্রিক আমেরিকাকে নীচে ফেলে চীন আজ বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক শক্তি হয়েছে।’’ জবাবে বললাম;
‘‘- চীন ১০০ কোটির উপরের মানুষের একটা দেশ। আয়তনেও ছোট না। আমেরিকায় ৩০ কোটি লোক। অর্থনৈতিক শক্তি চীন হবে। এটাই তো স্বাভাবিক। অর্থনৈতিক ভাবে যাই হোক, তিয়ানআনমেন স্কয়ারে শত শত লাশের কথা আপনি ভুলে যাচ্ছেন কেন?’’ জবাবে সুসেন জানালো;