সংসদের বাহিরে বিরোধী দলগুলো বলছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, এদের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। সম্প্রতি সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বললেন, “সময় এসেছে দেখার, নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড আছে কি নাই।”
সংসদের বাহিরে থাকা দলগুলো নির্বাচন বর্জন করছে, আবার নির্বাচনে অংশও নিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন, সরকার নিরব। নির্বাচন হছে, জনপ্রতিনিধিগন শপথ নিচ্ছেন।
জীব বিদ্যায় জীব জগতকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ মেরুদণ্ডহীন ও অমেরুদণ্ডহীন প্রাণী। ছোট বেলায় পরীক্ষায় প্রায় আসতো।
-“কয়েকটি মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর উদাহরন দাও।”
উত্তর পত্রে গড়গড় করে লিখতাম মানুষ, বানর, গরু, ছাগল, বাঘ, ভাল্লুক ইত্যাদি ইত্যাদি। পৃথিবীতে শতশত জীব মেরুদণ্ড ছাড়াও আছে। হাঁটছে, উড়ছে আর সাতার কাটছে। মেরুদণ্ড নাই বলে তাদের কোন আক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না। তারা দিব্যি আছে। মেরুদণ্ড আছে তাই মানুষের বড়াইয়ের অন্ত নেই। কেন এ বড়াই বুঝি না। মেরুদণ্ড ছাড়াই প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে, আমরা মেরুদণ্ড নিয়ে উড়তে পারি? মৌমাছি মেরুদণ্ডের তোয়াক্কা না করেই মেরুদণ্ডীদের হুল ফোটাছে, মৌচাকে মধু ভাণ্ডার তৈরি করছে। আমরা মৌমাছির মধু চুরি করছি।
নির্বাচন কমিশনের মানুষগুলো মেরুদণ্ডী হলেও, কমিশন কোন প্রাণী নয়। এটা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বারা গঠিত প্রতিষ্ঠানের আমরা মেরুদণ্ড খুজছি কেন? জানি না।